আজ ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামে ওএমএসের পণ্য পেতে অসহনীয় ভোগান্তি


চট্টগ্রামে ওএমএসের পণ্য পেতে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কখনও চাহিদার তুলনায় পণ্য কম আসছে, আবার সপ্তাহের কোনো কোনোদিন দেয়া হচ্ছে না বরাদ্দ। কেউ ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও পাননি পণ্য, আবার কেউ পর পর তিনদিন এসেও ফিরেছেন খালি হাতে।

পাহাড়তলী থানার ওএমএস ডিলার নাজির উদ্দিন চৌধুরীর বিক্রয়কেন্দ্র ‘মেসার্স নাজিম স্টোর’। খাদ্য অধিদপ্তরের বিক্রয় আদেশ অনুযায়ী, প্রতিদিন দেড় মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটা বিক্রির বরাদ্দ রয়েছে তার প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু তার দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যেকের অভিযোগ গত তিন দিন ধরেই তারা পণ্য পাচ্ছেন না। ভোর থেকে অপেক্ষা করেও মিলছে না চাল ও আটা।

এ প্রসঙ্গে নাজির উদ্দিন বলেন, ‘খাদ্য অধিদপ্তর থেকে সপ্তাহে পাঁচ দিন বরাদ্দ থাকলেও পণ্য পাওয়া যায় চার দিন বা তিন দিন। তাই সপ্তাহে কয়েকদিন বিক্রি বন্ধ থাকে।’

খোঁজ নিয়ে জানাে গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরে ১৪টি ট্রাক ও ১৯টি দোকানে সরকারি ছুটি ব্যতীত বাকি পাঁচ দিন চলছে ওএমএসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম। ১৪টি ট্রাকের জন্য প্রতিদিন ট্রাক প্রতি দুই মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ। এ ছাড়া ১৯টি দোকানের জন্য প্রতিদিন দোকানপ্রতি বরাদ্দ দেড় মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটা। প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে চাল ও ২৮ টাকা দরে আটা কিনতে পারছেন ক্রেতারা। একজন পণ্য নিতে পারবেন সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি।

চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক আবুল মনসুর মোহাম্মদ হাবীব প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ৪১টি ওয়ার্ড হিসেবে বরাদ্দ কম। নগরের প্রতিটি এলাকায় তাই ঘুরে ঘুরে পণ্য বিক্রি চলে। যেসব এলাকায় লোকসংখ্যা বেশি সেখানে ওএমএস দোকানের পাশাপাশি ট্রাল সেল কার্যক্রমও চলে। যে সব এলাকায় আজ পণ্য পাওয়া যায়নি সেখানে কাল পণ্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর